কোনো প্রমাণ ছাড়া স্বামীকে ‘চরিত্রহীন’ কিংবা ‘মদ্যপ’ বলা নিষ্ঠুরতা। এমনটাই জানালো বম্বে হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে মামলাটিতে পুণের এক দম্পতির বিয়ে ভেঙে দেয়া নিয়ে পারিবারিক আদালতের রায়কেই বহাল রাখল বিচারপতিদের ডিভিশন বেঞ্চ।
এক প্রতিবেদনে ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে, বিচারপতি নিতিন জামদার এবং শর্মিলা দেশমুখের ডিভিশন বেঞ্চ এ বিষয়ে পুণের পারিবারিক আদালতের রায় বহাল রেখে স্ত্রীর আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। পুণের ৫০ বছর বয়সী ওই নারীর স্বামী ছিলেন সাবেক সেনা সদস্য।
২০০৫ সালের নভেম্বরে আদালত তাদের বিয়ে ভেঙে দেয়ার পক্ষেই রায় দেয়। সেই রায়কেই চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই মহিলা। এরপর কেটে গিয়েছে দীর্ঘ দেড় দশকেরও বেশি সময়।
মারাও গিয়েছে ওই ব্যক্তি। অবশেষে পারিবারিক আদালতের রায়ই বজায় রাখল হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে খারিজ হয়ে গেল ওই মহিলার অভিযোগও। উল্লেখ্য, তার স্বামীর মৃত্যু হলেও ব্যক্তির আইনত উত্তরাধিকারী যিনি তাকেই আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছিল।
বিচারপতি নীতীন জমদার ও বিচারপতি শর্মিলা দেশমুখের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, কোনো প্রমাণ ছাড়াই স্বামীর চরিত্রহানি করতে তার বিরুদ্ধে এই ধরনের মিথ্যা অভিযোগ আনা নিষ্ঠুরতার শামিল। আদালত জানিয়ে দেন, ওই ব্যক্তি সেনা কর্মকর্তা ছিলেন।
তিনি অবসর নেন মেজর হিসেবে। সমাজে তার সম্মানজনক একটি অবস্থান ছিল। এই পরিস্থিতিতে তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনেন তার স্ত্রী। কিন্তু তিনি কেবল নিজে বিবৃতি দেয়া ছাড়া তার বক্তব্যের পক্ষে কোনও রকম প্রমাণ দাখিল করেননি।
এদিকে মৃত ব্যক্তির পক্ষে আদালতে উপস্থিত থাকা আইনজীবী অভিযোগ জানান, ওই ব্যক্তির স্ত্রী নিয়মিত স্বামীর উপরে মানসিক অত্যাচার করতেন। এবং তার সন্তান ও নাতি-নাতনিদের থেকেও তাকে বিচ্ছিন্ন করে রাখতেন। এরপরই আদালত তাদের রায় জানাতে গিয়ে বলে, পারিবারিক আদালতের রায়ই পুনর্বহাল রাখা হচ্ছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।